বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৯ পূর্বাহ্ন
সানোয়ার হাসান সুনু/আমিনুল হক সিপন ::
সুনামগঞ্জের প্রবাসী অধ্যুষিত জগন্নাথপুর উপজেলার মিরপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রাথীদের লড়াই জমে উঠেছে। দীর্ঘ প্রায় ১৭ বছর পর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় প্রার্থী সমর্থক ও ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ বিরাজ করছে। ১৪ অক্টোবর মিরপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী আবদুল কাদির (নৌকা) ও জাতীয় পার্টি মনোনীত আব্বাছ মিয়া (লাঙ্গল)। স্বতন্ত্র হিসেবে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাহবুবুল হক শেরিন (আনারস), তালামীযে ইসলামীয়ার শওকত আহমদ (চশমা) সাহাব আলী (টেলিফোন) ও আতাউর রহমান (মোটরসাইকেল) সহ মোট ৬ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। শেষ সময়ে এসে নিজেদের বিজয় নিশ্চিতের জন্য প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তাঁরা সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে ঝাপিয়ে পড়েছেন। দিন রাত ভোটারদের ঘরে ঘরে ভোট প্রার্থনা করে চলেছেন। যে কোন মূল্যে প্রার্থীরা তাদের বিজয় নিশ্চিত করতে চান। এ জন্য তাঁরা নানা কৌশল চালিয়ে যাচ্ছেন।
তবে ভোটার সহ ইউনিয়নবাসী চান কাঙ্খিত উন্নয়ন। তাঁরা দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে উন্নয়ন বঞ্চিত রয়েছেন। চেয়ারম্যান যে কেউ নির্বাচিত হন এলাকার রাস্তাঘাট সহ সার্বিক উন্নয়ন করতে হবে। যে কারণে ইউনিয়নবাসী যোগ্য প্রার্থীকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে চান ।
শনিবার মীরপুর গ্রামের ভোটার আবুল বাশারের সাথে আলাপ হলে তিনি বলেন, নির্বাচনে বিএনপির কোন প্রার্থী নাই। শুধু মাত্র আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী রয়েছেন। চেয়ারম্যান পদে নৌকার মাঝি আবদুল কাদির ও বিদ্রোহী প্রার্থী আওয়ামীলীগ নেতা মাহবুুুবুল হক শেরীন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী আব্বাছ মিয়া এবং তালামিযে ইসলামিয়ার প্রার্থী শওকত আহমদের মধ্যে চর্তুমুখী প্রতিদ্বন্ধিতা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে অনেকে জানান। সাহেব ক্বিবলা ফুলতলী (রাঃ) এর প্রতিষ্ঠিত আঞ্জুমানে আল ইসলাহ সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীরা শওকত আহমদের পক্ষে কাজ করছেন। অন্য দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীরাও জয়ের লক্ষ্যে কাজ করছেন।
এদিকে, মিরপুর ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ড থেকে পুরুষ ও মহিলা ইউপি সদস্য প্রার্থীরাও নিজের বিজয় নিশ্চিত করতে মরিয়া হয়ে মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। যদিও ১৪ অক্টোবর নির্বাচনে জনরায়ে চেয়াম্যান পদে ১, নারী ইউপি সদস্য পদে ৩ ও সাধারণ ইউপি সদস্য পদে ৯ সহ মোট ১৩ প্রার্থীর গলায় পড়বে বিজয়ের মালা। তাঁরাই হবেন আগামী মিরপুর ইউনিয়নের জনগনের নির্বাচিত প্রতিনিধি। তাঁদের হাত ধরেই হবে মিরপুরের কাঙ্খিত উন্নয়ন। পূরণ হবে জনগণের চাওয়া-পাওয়া। এখন শুধু অপেক্ষার পালা। কারা হচ্ছেন সেই ভাগ্যবান জনপ্রতিনিধি।
Leave a Reply